একদিনে কুষ্টিয়া ভ্রমণ গাইড
কুষ্টিয়া (Kushtia), বাংলাদেশের সংস্কৃতির রাজধানী। ফকির লালন সাঁই আর কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জেলা। নতুন করে এই জেলার মহিমা সম্পর্কে বলার কিছুই নেই। কিন্তু সময়,পরিপূর্ণ প্ল্যানিং, আর খরচের হিসাব মিলছে না বলে অনেকেই এখনো এই রাজধানীতে পা রাখেন নাই। তাই সব ধরনের মানুষের জন্যই আমার এই ট্যুর প্ল্যানিং বা ভ্রমণ গাইড। এটাকে আপনি ডে ট্রিপ (Day Trip) হিসেবে ধরে নিতে পারেন।
একদিনের কুষ্টিয়া ভ্রমণ প্ল্যান
ঢাকার কল্যানপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে(শ্যামলী, হানিফ, এস বি সুপার) রাত ১০.৩০ এর বাসে উঠে পরুন।
রাতে ব্রেকে রাতের খাবার।
সকাল ৭টার মধ্যে পৌছে যাবেন মজমপুর বাস স্ট্যান্ড, কুষ্টিয়া।
সকালে নাস্তা সেরে নিন।
এবার চলে যান – রেনউইক বাঁধ। মজমপুর থেকে রিক্সায় অথবা পায়ে হেটে যাওয়াই ভালো অল্প একটু পথ।
রেনউইক বাঁধ যাওয়ার পথেই পরবে কুষ্টিয়া পৌরসভা। অপরুপ সুন্দর এবং গোছানো একটি জায়গা।
রেনউইক বাধ ঘুরে একই পথে আবার মজমপুর চলে আসুন। এবার রিক্সা নিন গন্তব্য – ঘোড়ার হাট।
ঘোড়ার হাট হলো গড়াই নদীর পাড়ের একটি বাজার। লোকাল ট্রলারে নদি পার হওয়া যায়। নদি শুকিয়ে গেলে পায়ে হেটে পার হতে হয়।
নদী পেরিয়ে মোটর ভ্যান দেখতে পাবেন বললেই হবে – শিলাইদহ, রবিন্দ্র কুঠি বাড়ি।
রবিন্দ্রনাথ কুঠিবাড়িতে সরকারী ছুটির দিনে বন্ধ থাকে।
কুষ্টিয়ার বিখ্যাত কুলফি মালাই খেতে ভুলবেন না। কুঠিবাড়ির বাহিরেই পাওয়া যায়।
কুঠি বাড়ির বাহির থেকে সিএনজি/অটোতে করে চলে যান আলাউদ্দিন মোড়ে।
আলাউদ্দিন মোড় থেকে অটোতে করে মাসুদ রুমি ব্রিজের ঐ পাড় চলে যান।
ব্রিজ থেকে নামলেই দেখবেন একটি বোর্ডে দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। – বিষাধ সিন্ধুর জনক মীর মোশাররফ হোসেনের বসত ভীটা। পায়ে হেটেই যেতে পারবেন। গ্রামের ভিতরের রাস্তা খুব মুগ্ধকর।
একই পথে ফিরে আসুন। ব্রিজের নিচে সাইনবোর্ডটির কাছে।
সেখান থেকে অটোতে করে চলে যান ফকির লালন সাঁইজীর বারামখানায়।
আখড়ার আশে পাশে দুপুরের খাবারটাও সেরে নিন।
পুরো বিকেলটা কাটিয়ে দিন সাইজীর বারামখানার সৌন্দর্য আর তার ভক্তদের মনোমুগ্ধকর গান শুনে।
ভিতরে একটি সংগ্রহশালা রয়েছে। লালন সাঁইজীর ব্যবহৃত অনেক আসবাব, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি রয়েছে।
এবার ফিরার পালা। লালন আখরার বাহির থেকে অটোতে করে মজমপুর চলে আসুন।
ঢাকার বাসের টিকিট কেটে ফেলুন এবং শহর ঘুরে দেখুন। রাতের খাবারটা ব্রেকে সেরে ফেলুন।
৯.৩০ এর বাসে উঠলে আপনি সকালে এসে অফিস ধরতে পারবেন।